ব্যোমকেশ বকশি : দেখে এলুম

সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত অঞ্জন দত্ত পরিচালিত ব্যোমকেশ বকশি (আদিম রিপু অবলম্বনে) দেখে এলুম আজ।

যারা রিভিউ পড়ার আগে স্টার রেটিংএ একবার প্রথমে চোখ বুলিয়ে নেন তাদের জন্য বলি এই ছবিকে আমি পাঁচে চার দেব ।

প্রথম লাইনে ব্যোমকেশ বকশির নামের সাথে পরিচালকের নামও আলাদা করে লেখার কারন আছে । যারা অঞ্জন দত্তর সিনেমা আগে দেখেছেন তারা জানেন ওনার ছবিতে ‘কলকাতা’ শহরটা, কলকাতার জন্য ভালবাসা আলাদা করে একটা যায়গা জুড়ে থাকে। এই ছবিতেও আছে । আর আছেন ব্যোমকেশ , নতুন রূপে । ব্যোমকেশ বলতেই প্রথমে রজিত কাপূর ও উত্তমকুমারের মুখ ভেসে ওঠে । তাই আবীর চ্যাটার্জীর সহজ সরল নিপাট ভাল মানুষ মুখটা একটু যেন কেমন লাগে । যদিও মানতেই হয় আবীরকে পরিচালক অত্যন্ত মূন্সীয়ানার সাথে ব্যবহার করেছেন । আর যথাযথ সঙ্গত করেছেন শাশ্বত চ্যাটার্জী , ছবিতে অজিত । যদিও ছবিতে অভিনয়ে যিনি কাঁপিয়ে দিয়েছেন তিনি হলেন রূদ্রনীল ঘোষ , ছবির প্রভাত । এছাড়াও ছবিও প্রতেকেই বেশ ভাল অভিনয় করেছেন ।

গল্প নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই আমার ধারনা ব্যোমকেশ সবাই ই পড়েছেন তাই গল্পে আর গেলাম না।

ছবির সেট নির্মান বিশেষ করে প্রশংশার দাবী রাখে । পরিচালক যদিও ছবির গল্পকে সাতচল্লিশ থেকে প্রায় দু দশক পরের কলকাতায় এনে ফেলেছেন , কিন্তু সেই সময়ের কোলকাতা দেখানো ও খুব একটা সহজ কাজ নয় হয়তো । তবে ছবির শেষ দিকে গদানন্দ কে হালফিলের বড় গোল্ড ফ্লেক খেতে দেখলাম বলে মনে হল । গদানন্দর শার্টের কলার ও বড্ড এই সময়কার , ষাটের দশকে শার্টের কলার বোধহয় আর একটু বড় হোত।

যে জিনিষটার কথা না বললেই নয় তা হল ছবির গান, ছবিতে যে দুটি গান ব্যবহার হল দুটিই শ্রুতিমধুর , এবং গান ব্যবহার ও খুব সুন্দর।

তবে হ্যা নোট পোড়ালে যে আসলে সরকারের কোন ক্ষতি হয়না এর যে ব্যাখা শরদিন্দুর আসল গল্পে আছে সেটাও ছবিতে থাকলে মন্দ হত না।
Byomkesh