রঙ্গমঞ্চ

মৃত সৈনিকের ভূমিকায় যারা স্টেজের উপর পড়ে আছে
রাজার হস্তমৈথুন শেষ হলে ,
তারা জামা প্যান্ট পরে যে যার বাড়ি ফিরে যাবে ।

আমরা যারা দর্শকের আসনে বসে, শুয়ে –
ভাল লাগলে ঢোল বাজাবো আর হাততালি দেব
না লাগলে গালি দেব

যদি

যদি বল প্রয়োজন নেই , এক কথায় মেনে নেব
এলোমেলো কথা বলে যদি বোঝাও আমি ভালো না ,
মেনে নেব তাও
যদি যেতে বল , চলে যাব , জিজ্ঞাসাও করব না – ‘কেন ?’

মন খারাপের কবিতা

আমি চলে যাব
পড়ন্ত বিকেলের এই রোদ ছেড়ে।
এই পুকুর , মাছ , মাছরাঙা ,
আম, জাম , গাব আর
সুপুরি গাছগুলোও পড়ে থাকবে।

পুকুরের জলে তখনো বিকেলের রোদ
এসে খেলা করবে
আর খুঁজবে আমাকে।
আমারও খুব মনখারাপ করবে
তবুও বনচাঁড়ালের পাতা নেঁচে চলবে
তার নিজের খেয়ালে।
পৃথিবীর আর পাঁচটা কাজকম্মোও
একই থাকবে।
জামরুল গাছে জামরুল হবে,
সেগুলো পাখিতে খাবে
আর নষ্ট হবে।

কেউ আর উঠবেনা জামরুল গাছে।

জামরুল গাছ , তোমার মন খারাপ হবে ?

চব্বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াস

চব্বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসে হেমন্ত আনলে কেমন হয়?
মনিটর থেকে সব কোড নিয়ে গেছে কেউ…
আইকনগুলো সব খসে পড়েছে…
Recycle Bin ভর্তি হয়ে উপছে পরছে মোছা file

অথচ এটা কোন ভাইরাসের দুঃসাহসী কীর্তি নয়…
কবিতায় এই সব অদ্ভুত শব্দের ব্যবহার হয়ত অচল
কিন্তু জীবনটাকে গ্রাস করে আছে এরাই,
desktop এর shortcut এ click করে আমবাগানে যাবো,
আমবাগানে আমের মুকুলের সেই চেনা গন্ধ…

চব্বিশ ডিগ্রিতে আম ফলবে ?
জানা নেই!!

আবার যদি দেখা হয়

আবার যদি দেখা হয় কোনো অজানা রাস্তার বাঁকে, চিনবে আমায় ?
আবার যদি দেখা হয়, চাঁদ উঠবে ! নাকি ঝড় ?
মন খারাপের বিকেলে যদি আবার তোমায় পাই, হাসবে তুমি?
তোমার দুচোখে তখন অবজ্ঞা নাকি চোখের কোনে বালুকনা ?

আবার যদি দেখা হয়, হাসবে তুমি সেই হাসিটা , যেটা আর আমার নয় !
তোমার হাতে তখন ফুলের তোড়া ! নাকি অন্যের হাত ?
আবার কোনো মন খারাপের বিকেলে কোনো অজানা রাস্তার বাঁকে দেখা হবে?
হাসবে তুমি? চিনবে আমায় ?

ইচ্ছামতী – একটি অসমাপ্ত কবিতা

নাইবা হোল রাজা সাজা, নকল বুঁদির গড়,
আমার জন্যে রইলো তোলা ইচ্ছে নদীর চর
ইচ্ছে জলে দুকুল ভাসে, ইচ্ছেই নৌকা
পাল তুলে দি, হাল ছেড়ে দি, যেখানে খুশি যা

শুধু বদলেছি আমি

একই আছে ছেলেবেলার পৃথিবীটা
একটু ও বদলায়নি বোকা বোকা টেলিসিরিয়ালগুলো
আর গতানুগতিক প্রেমের পদ্য ।
তাপ্পিমারা জংধরা গান গুলো আজও বিকোচ্ছে
শস্তা দরে, চৈত্র সেলের বাজারের মতন
বাসনওয়ালা , শালওয়ালারা একই আছে
আর আমাদের জিঘাংসা।
ভিড় বাসে পরিচিত গুতোগুতির স্বভাব বদলায়নি একটুও
শুধু বদলেছে বাসরুট আর বাস
আর বদলেছে কাগজ কলম।
কাগজগুলো ঠাই নিয়েছে কাগজকুরুনীদের বস্তায়
সেই বস্তা টেনে বেড়ানো কাগজকুরুনীরাও বদলায়নি।

শুধু বদলেছি আমি,
প্রতিনিয়ত !!!